হে কবি, তোমায় খুব জানতে ইচ্ছে করে,
কি করে তুমি লিখেছো এত কথা?
আমাদের জীবনের প্রতি মুহূ্র্তের অনুভূতিগুলি
সাজিয়েছো তুমি তোমার ছন্দে।
হয়তো গোলাপ শুকিয়ে গেছে,
আজকাল আর কবিতা লেখাই হয় না,
লিখতে ইচ্ছে করলেও সেই উদ্দীপনা, উত্তাপ, অনুভূতি আজ অনেকটাই কম,
সব কিছু কেমন যেন ম্লান হয়ে গেছে।
দেবদূত তুমি নেমে এসো,
ঘুচাও পৃথিবীর অন্ধকার।
আর কতদিন থাকবে নীরব?
শুনবে মানুষের হাহাকার।
আমার হৃদয় দিলাম সঁপে,
অজানা ওই দূরের সাথীর তরে।
দেখিনি কভু,
জানিনা সে কেমন পাগল মেয়ে।
তুমি আসবে তো?
যদি প্রাণভরে ডাকি।
তোমার হৃদয় কী উঠবে কেঁপে?
যদি বাজাই আমার প্রাণের বাঁশি।
তুমিও কী বাসবে ভালো আমায়?
যদি বলি, তোমায় আমি ভালোবাসি।
স্বপ্ন স্বপ্ন এই মন,
আরেকটা স্বপ্ন নিয়ে
তোমার আমার জীবন।
স্বপ্ন দিয়েই স্বপ্ন গড়া,
ওই মেঘেদের মতো
চলো হয়ে যাই বাঁধনহারা।
আমাকে মুক্তি দাও
আমার মনে আজ আগুন জ্বলেছে।
ওই পাখিদের মতো ডানা মেলে
আমাকে আজ ভাসতে দাও।
আকাশের সীমানার ওপারে
হয়তো বা সমুদ্রের গভীরে-
আমাকে আজ হারিয়ে যেতে দাও।
চোখে ঘুম নেই,
নেই ক্লান্তি, অবসর।
এধার হতে ওধার,
আপন মনে চলছে দুলে দুলে।
নেই সময়ের তাড়া।
জন্ম, মৃত্যু জলে,
জলেই কাটে কৈশোর, যৌবন।
এসেছে শরৎকাল,
বাঙ্গালী মেতেছে আবার পূজোর জোয়ারে।
দেবী দুর্গা এবার দোলায় চেপে মর্ত্যে আসছেন,
সাথে তাঁর গোটা পরিবার।
জীবন শূন্য আজ,
ভয়হীন মন।
হারিয়েছি দিশা মাঝপথে,
কালের স্রোতে ভেসে চলেছি সারাক্ষণ।