আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি
আমি রোদে পুড়ে,
ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি।
আমার আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখার খেলা থামে নি
শুধু তুমি চলে যাবে আমি স্বপ্নেও ভাবি নি।
তুমি দেখেছো কি হাঁটুজলে ম্যাকলয়েড স্ট্রীট
দেখেছো কি বর্ষায়।
তুমি চড়েছো কি আব্দুল মানান হোসেনের
ভাঙ্গাচুরা রিকশায় ।
আজ হোক না রং ফ্যাকাসে তোমার আমার আকাশে,
চাঁদের হাসি যতই হোক না ক্লান্ত,
বৃষ্টি নামুক নাই বা নামুক, ঝড় উঠুক নাই বা উঠুক,
ফুল ফুটুক নাই বা ফুটুক আজই বসন্ত।
তুমি না থাকলে সকালটা এতো মিষ্টি হতো না,
তুমি না থাকলে মেঘ করে যেতো বৃষ্টি হতো না।
তুমি আছো বলে মন কষাকষি,
করে হাসাহাসি নাক ঘষাঘষি..
স্কুলের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে মেয়েটা
ছেলেটা দৌড়ে দৌড়ে এসে হাঁপায়,
স্কুলের বাসটা হর্ন দিয়ে যায় তিনবার
মেয়েটা দৌড়ে দৌড়ে চলে যায়।
কালো সাহেবের মেয়ে
ইশকুল পালিয়ে
ধরতে তোমার দুটো হাত,
কত মার খেয়েছি
মুখ বুজে সয়েছি
অন্যায় কত অপবাদ।
একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশী রোজগার,
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।
পারলো না কিছুতেই তোমার কোলকাতা আমাকে ভুলিয়ে দিতে,
পাহাড়ি রাস্তার ধারের বস্তির আমার কাঞ্চনকে।
তুমিও বোঝো, আমিও বুঝি
বুঝেও বুঝি না,
তুমিও বলো, আমিও বলি
তবে সোজাসুজি না।
পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবো
বলেছে পাড়ার দাদারা,
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই।
রঞ্জনা আমি আর আসবো না,
এখানে রঞ্জনা আমি আর আসবো না।
তোমার জংলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি,
তোমার পি সি চন্দ্রের ঝুমকো কানের দুল,
আজ বারোই মে তাই সকাল থেকে
জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল।