মালা
তোমার জংলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি,
তোমার পি সি চন্দ্রের ঝুমকো কানের দুল,
আজ বারোই মে তাই সকাল থেকে
জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল।
তোমার সানন্দার পাতা থেকে
ছিঁড়ে নেয়া রেনী পার্কের সংসার।
তোমার স্বামী আজ অনেক দিনের পরে তোমার ঘরে,
নিয়ে হাজার বিদেশি উপহার।
এই শুভ দিনে নানান কাজের ফাঁকে
পড়ছে কি মনে তোমার,
এই বারোই মে তুমি চলে গিয়ে ছিলে
জীবন থেকে আমার।
আজ যাও তুমি কোথায় চলে রোজ রাত্তিরে
মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে,
তোমার সাজানো শরীরের ভেতরে
মালা তুমি কে, তুমি কে ?
তোমার কথা বলা যেন মধুবালা,
তোমার হাঁটাচলা সোফিয়া লরেন।
তোমার গন্ধ ফরাসী আনায় আনায়,
অভিমান অপর্না সেন।
বৃষ্টি এলে চলে যাও জয়সালমীর,
শীতকালে কোডাইকানাল,
দমদমে নামলে তোমারই বাড়িতে
কফি খায় ইমরান খান।
তোমারই জন্য ওবেরয় ভাইদের
দরজা সদাই খোলা,
সাতার শেখার আলিয়ঁস ফ্রাঁসে
দিনগুলি ঘেরা।
তবু যাও তুমি কোথায় চলে রোজ রাত্তিরে
মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে,
তোমার সাজানো শরীরের ভেতরে
মালা তুমি কে, তুমি কে ?
মনে পড়ে কি সেই মৌলালির মোড়,
বাসস্টপে দুপুর বেলায়।
মনে পড়ে কি সেই রুবি রায়ের গান,
শোনাতাম আমি তোমায়।
দুজনেরই চোখে ছিল বাঁচার স্বপ্ন,
যেভাবে হোক যেমন করেই।
ছিল না যে কিছুই বেচার আমার
গেলাম তাই যে হেরে।
আজ রে ব্যান দিয়ে তুমি
যতই ঢেকে রাখো চোখ,
লুকোতে পারবে না।
এন্টালী সিনেমার পেছনের
বস্তির মৌলালির মালা।
আমি জানি তুমি কোথায় যাও রোজ রাত্তিরে,
মনের ভেতর ঘুমের ঘোরে।
আমি দেখে ফেলেছি তোমার মনের ভেতরটা
আমি চিনি, আমি জানি তোমাকে, তোমাকে।
গান | মালা | শিল্পী | অঞ্জন দত্ত |
আ্যলবাম | ভালোবাসি তোমায় | কথা | অঞ্জন দত্ত |
সাল | ১৯৯৬ | সুর | অঞ্জন দত্ত |