একটু ভালো করে বাঁচবো বলে আর একটু বেশী রোজগার,
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা আমার নীলচে পাহাড়।
পারলো না কিছুতেই তোমার কোলকাতা আমাকে ভুলিয়ে দিতে,
পাহাড়ি রাস্তার ধারের বস্তির আমার কাঞ্চনকে।
পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেবো
বলেছে পাড়ার দাদারা,
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই।
রঞ্জনা আমি আর আসবো না,
এখানে রঞ্জনা আমি আর আসবো না।
তোমার জংলা পাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ি,
তোমার পি সি চন্দ্রের ঝুমকো কানের দুল,
আজ বারোই মে তাই সকাল থেকে
জন্মদিনের তোড়া তোড়া ফুল।
চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো
এখন আর কেউ আটকাতে পারবে না,
সম্বন্ধটা এই বার তুমি ভেস্তে দিতে পারো
মা-কে বলে দাও বিয়ে তুমি করছো না।
শুনতে কি চাও তুমি সেই অদ্ভুত বে-সুরো সুর,
ফিরে পেতে চাও কি সেই আনচান করা দুপুর।
দেখতে কি চাও তুমি সেই খেলনাওয়ালাটাকে,
তার খেলনা দোতারা সে বাজাচ্ছে কবে থেকে।
ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।