আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে-
তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে ॥
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে
তোমারি সুরটি আমার মুখের পরে, বুকের পরে॥
পুরবের আলোর সাথে পড়ুক প্রাতে দুই নয়ানে-
নিশীথের অন্ধকারে গভীর ধারে পড়ুক প্রাণে।
মম চিত্তে নিতি নৃত্যে কে যে নাচে
তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ।
তারি সঙ্গে কী মৃদঙ্গে সদা বাজে
তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ, তাতা থৈ থৈ।
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো-তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো-তোমার
চরণমঞ্জীরে।
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে-
আমার সুরগুলি পায় চরণ, আমি পাই নে তোমারে॥
বাতাস বহে মরি মরি, আর বেঁধে রেখো না তরী-
এসো এসো পার হয়ে মোর হৃদয়মাঝারে॥
আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো॥
সখী, ভাবনা কাহারে বলে। সখী, যাতনা কাহারে বলে ।
তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’-
সখী, ভালোবাসা কারে কয়! সে কি কেবলই যাতনাময়।
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে।
একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো, একলা চলো রে॥
একি লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ, প্রাণেশ হে,
আনন্দবসন্তসমাগমে॥
বিকশিত প্রীতিকুসুম হে
পুলকিত চিতকাননে॥
মোর বীণা ওঠে কোন্ সুরে বাজি কোন্ নব চঞ্চল ছন্দে।
মম অন্তর কম্পিত আজি নিখিলের হৃদয়স্পন্দে ।।
আসে কোন্ তরুণ অশান্ত, উড়ে বসনাঞ্চলপ্রান্ত -
আলোকের নৃত্যে বনান্ত মুখরিত অধীর আনন্দে ।।